বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণ সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা প্রদান

ঢাকা মহানগরীর স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুই বার বোর্ড শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের খেতাবপ্রাপ্ত মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল এণ্ড কলেজ এর পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার যাত্রাপুর, রঘুনাথপুর, মান্নানপুরসহ ১১টা গ্রাম ও নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলার যাদবপুর, শ্যামপুর, মুজিবনগর, মোমিননগরসহ ৯টা গ্রামে বন্যাদুর্গত ৫৫০টিরও বেশি  পরিবারে বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত স্বস্তিসেবক দল ও স্থানীয়ভাবে নেত্রকোনার মদন শাখার সৎসঙ্গ কৃষ্টিপ্রহরী যুব পরিষদ একাজে বিশেষভাবে সহযোগিতা করে।

প্রতিটি প্যাকেটে ছিলঃ
চাল--৩কেজি
মসুর ডাল-১/২ কেজি
সরিষা তেল-৩০০ মিলি
চিড়া-১ কেজি
মুড়ি-১/২ কেজি
চিনি-১/২ কেজি
আলু-১ কেজি
লবন-১ কেজি
স্যালাইন-২টা
নগদ টাকা-২০০/-
এছাড়াও কয়েকজনের বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অর্থ সহযোগিতা করা হয়েছে। 
বিস্তীর্ণ জলরাশির সাথে নিত্য ওঠাবসা করা হাওড় অঞ্চলের মানুষও হিমশিম খেয়ে গিয়েছে হঠাৎ করে সৃষ্ট এই বন্যায়। যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়গ্রহণকারী নিধুরাণীর মতো অনেকেই জানেনা কবে বাড়ি ফিরবে কিংবা মুজিবনগরের আজাদ মিয়াও বলতে পারে কবে তার উঠান থেকে পানি নামবে। বন্যায় "ভাটি বাংলা কলেজের" শ্রেণিকক্ষ  এখনো প্লাবিত কিংবা সোমেশ্বরী মন্দিরের কেবল চূড়া দেখা যাচ্ছে। কলেজে যাওয়ার রাস্তাটা খুজেই পেলাম না। কেবল একটা মাঝারি মানের ব্রিজ ঠায় দাঁড়িয়ে আছে অনাথের মতো। আমরা দিব্বি সেই ভাঙ্গা রাস্তার উপর দিয়ে ট্রলার নিয়ে চলে গেলাম পাশের গ্রামে। গত ২৫/৬/২০২২ইং শনিবার সারাটা দিন তাদের সাথে কাটিয়ে কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি। অন্ধ স্বামীকে নিয়ে ত্রাণ নিতে আসা মতি বিবির মুখের এক চিলতে অবাক হাসিই প্রাপ্তি। ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে তৈরি এই ফান্ডের কথা শুনে সবাই তাদের জন্য যে দোয়া ও আশীর্বাদ করেছে, সেও এক পরম পাওয়া। শেষ কথা এই যে, এখনো অনেক করার বাকি; যাদের সামর্থ্য আছে, এগিয়ে আসুন এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে।