মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি কমপ্লেক্স-এর ইতিবৃত্ত

১৯৭৬ সালের স্বাধীনতাত্তোর পরিস্থিতি অনুধাবন করে এই এলাকার সন্তান সন্ততির জন্য উন্নতমানের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ব্যাপারে কতিবয় নিবেদিতপ্রাণ অধিবাসী একমত হন। তাঁদের প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় ও সেবার ফলে বিগত ৩৮ বছর মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজ বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত পেয়েছে। পিজ, কেজি এবং প্রথম শ্রেণি দিয়ে শুরু করে উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্ঠায় ধীরে ধীরে  এটি একটি পূর্ণঙ্গ হাইস্কুলে উন্নীত হয়। এরই ক্রমবিকাল ও বিস্তারের ধারাবাহিকতায় উদ্যোক্তাগণ ১৯৯৩ সালে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি গার্লস কলেজে একাদশ শ্রেণি প্রবর্তন করেন। গত ২৪ বছরে উন্নত শিক্ষা পদ্ধতি, মনোরম পরিবশে, কঠোর নিয়ম-শৃঙ্খলা ইত্যাদি বিবেচনায় এই কলেজ ঢাকার উন্নতমানের কলেজসমূহের মধ্যে সম্মানজনক স্থান অধিকার করে নিতে সক্ষম হয়েছে।

 

এই এলাকার ছেলেদের উন্নত শিক্ষাপ্রদানের জন্য ২০০৪ সালে ৩/৩ আসাদ অ্যাভিনিউতে কলেজ শাখা চালু করা হয়। এই কলেজে নিবিড়, শান্তিপূর্ণ ও মনোরম পরিবেশে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে সর্বদা সচেষ্ট।

 

এখানে সুযোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও মনোবিকাশের জন্য চেষ্টা করেন। অত্যন্ত অভিজ্ঞ, পারদর্শী এবং পিএইচডি ডিগ্রিধারী অধ্যাপকবৃন্দ এই কলেজের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিকাশের জন্য অবিরাম চেষ্টা করে চলেছেন। আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে পাঠদান উন্নত করার জন্য শিক্ষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ইত্যাদির আয়োজন করা হয়ে থাকে।

 

বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক (বালিকা শাখায়) বিভাগ চালু আছে। প্রতিটি বিভাগেই কম্পিউটার শিক্ষাসহ বর্তমান শতাব্দীর চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয় সন্নিবেশিত আছে। সুপ্রতিষ্ঠিত কম্পিউটার কেন্দ্র, পর্যাপ্ত বইপত্র সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, উন্নতমানের ল্যাবরেটরি ও মেডিকেল সেন্টার আছে।

 

শ্রেণিকক্ষে সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্র্থী থাকায় শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের আন্তরিক প্রয়াসে জ্ঞান সাধনায় সাফল্য অর্জনের পর্যাপ্ত সুযোগ আছে। পাঠ্যবইয়ের বাইরেও জ্ঞানচর্চা, খেলাধুলা ও অন্যান্য সহপাঠ্যক্রমিক কার্যের ব্যবস্থা আছে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বৃত্তি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

 

প্রতিষ্ঠানে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং নির্মল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ সর্বদা সচেষ্ট। রাজনীতি এবং বহির্চাপ মুক্ত রাখার জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা ও পদক্ষেপ নেয়া হয়। মেধা-বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশেষত্ব।

 

এই ধারাবাহিকতায় কর্তৃপক্ষের শ্রম, মেধা আর মননের সমন্বয়ে  ১৯৯৬ সালে  ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রকল্প তৈরি করে সরকারি অনুমোদন লাভের জন্য আবেদন করা হয়। দীর্ঘ ৫ বছর চেষ্টার  পর ২০০১ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ক্লস শুরু করার জন্য সরকারি অনুমতি  পায়। অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে ৩০% কম খরচে পড়ার ব্যবস্থা কর হয়েছে।