কিছু কথা না বললেই নয়। শুধু মাত্র ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলে কম হয়ে যাবে। সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলীর অক্লান্ত পরিশ্রম এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সফলতার সাথে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়েছে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তা ব্যাক্তিবর্গকে বিশেষ করে বড় মিসকে যাদের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারনে বাচ্চারা আবার পড়ার টেবিলে মনোনিবেশ করতে পেরেছে।
বর্তমান পরিস্থিতে আমরা সবাই কম বেশী একটা অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমরা অভিভাবকেরা বাচ্চাদের পড়াশোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। সবাই নানান জায়গায় অবস্থান করছিলাম। বলতে গেলে কোন প্রকার যোগাযোগই ছিল না। এই বিছিন্ন অবস্থা থেকে আমাদের সকলকে একটি প্ল্যাট ফর্মে নিয়ে আসতে দিন রাত যিনি পরিশ্রম করেছেন ক্লাস টিচাররা। শ্রদ্ধেয় সেই শিক্ষকদের আমার পরিবার এবং সকল অভিভাবকের পক্ষ থেকে সালাম।
প্রতিটি শিক্ষক এবং ক্লাস টিচার যে ভাবে আমাদের এবং বাচ্চাদের গাইড করেছেন যা এক কথায় অসাধারণ। খুব কাছ থেকে আমি আমার বাচ্চার দুর্বলতা দেখেছি, তার নৈতিকতা দেখেছি।ঝালিয়ে নিয়েছি আমার নৈতিকতা। তার ভুল ভ্রান্তি গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। যা আগে নানা কারনে সম্ভব হয়ে উঠেনি। পরীক্ষার খাতা যে সুন্দর করে সাজানো যায় তা ভুলেই গিয়েছিলাম।
ভাল লাগল যখন মিডিয়াতে বিদ্যালয়ের নিউজ দেখলাম। একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পেরেছে। আমরাও চাই বিদ্যালয়টি মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে থাকুক।
আগামী কাল পরীক্ষার পর্ব শেষ হয়ে যাবে। তারপরেও বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ থাকবে যদি সম্ভব হয় এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া, যাতে করে বাচ্চারা মজা নিয়ে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে নিতে পারে।
কৃতজ্ঞতায়
- অভিভাবক
আমি একজন অভিভাবক, স্কুলের অনলাইন পাঠদানের সিদ্ধান্ত নেয়ায় আমি স্কুল কমিটি এবং শিক্ষকগণের প্রতি কৃতজ্ঞ। অনলাইন শিক্ষা কর্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপকার হয়েছে। স্কুলের হোমওয়ার্ক করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার গতি ফিরে এসেছে বলে আমি মনে করি। সব বিষয়ের শিক্ষকগণের থেকে সবরকম সহযোগিতা পেয়েছি। স্কুল এবং পাঠ সংক্রান্ত যেকোন প্রয়োজনে শ্রেনী শিক্ষিকার সহযোগিতা পেয়েছি সবসময় যা খুবই প্রশংসনীয়। অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে পড়ালেখার আগ্রহ এবং মনোযোগ ফিরে এসেছে। ১ জুলাই হতে যে অনলাইন ক্লাস শুরু হবে তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আরো উপকৃত হবে আশা করি। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম একটি সঠিক সিদ্ধান্ত এবং আমি এই সিদ্ধান্তের সাধুবাদ জানাই।
- অভিভাবক
আমাদের বাচ্চারা স্কুল বন্ধ থাকলেও একটা নিয়মের মধ্যে ছিল বরাবরই।শিক্ষক গন নিয়মিত mpsc web এ লেসন দিয়েছেন। পড়াশোনার আবহ বজায় ছিল। অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার কারনে ছাত্ররা উদ্যমী হয়েছে আরো। আমরা অভিভাবকগন মনে করি, পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত টি ছিল নিঃসন্দেহে সবচেয়ে ভাল উদ্যোগ।
সকল শিক্ষকদের আমার তরফ থেকে সালাম ও শুভকামনা।
- মেসবাহ-এর অভিভাবক
বৈশ্বয়িক মহামারী করনায়(covit-19) আক্রান্ত পুরো পৃথিবী আজ বিপর্যস্ত। বেচেঁ থাকাটাই যেখানে অনিশ্চিত, শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার সেখানে প্রশ্নবিদ্ধ। তবুও ছাত্রদের কথা চিন্তাকরে এক্ষেত্রে শিক্ষকগন অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।বিশেষ করে মোহম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজ অনলাইন শিক্ষার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ।তারা প্রথমেই সমন্বিত করেছে সকল ছাত্রদের। এরপর তাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্নপত্র প্রদান করেছে,যা সংশ্লিষ্ট বিষয় বোঝার জন্য ছিল অত্যন্ত সহায়ক।আর অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রদের যাচাই করাটাও ছিল সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর স্কুলের সমন্বিত ব্যবস্থাপনায় আজ এই দুর্যোগ কালেও ছাত্ররা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত নয়।তাই সকল শিক্ষকদের জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা। আর আশা করছি স্কুল ও শিক্ষকগন এভাবেই ছাত্রদের পাশে সবসময় থেকে সহযোগিতা করবেন।।
ধন্যবাদান্তে
ফাইয়াজ-এর অভিভাবক
স্কুল বন্ধ থাকায় বাচ্চারা পড়তেই বসতো না। অনলাইন এক্টিভিটি শুরু হওয়ায় বাচ্চারা টিভি থেকে অনেকটাই বইমুখি হয়েছে। আমি জানি বাংলাদেশের পারিবারিক কাঠামো 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম'র পক্ষে কতটা অন্তরায়। সেসব প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে আপনারা নিষ্ঠার সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছেন, উৎসাহিত করছেন। তাই অনলাইন কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত সকল শিক্ষিকার প্রতি রইলো অনেক শ্রদ্ধা।
শুভেচ্ছান্তে,
"অরিনের বাবা"
অনলাইন ক্লাসের উপর চ্যানেল আইয়ের রিপোর্ট